অবস্থান ও আয়তন শুরুতেই আমরা সাতক্ষীরা শহরের ম্যাপ এর একটি সবি দেখে নেই......... Satkhira Map সাতক্ষীরা জেলার উত্তরে যশোর জেল...
অবস্থান ও আয়তন
শুরুতেই আমরা সাতক্ষীরা শহরের ম্যাপ এর একটি সবি দেখে নেই.........
![]() |
Satkhira Map |
সাতক্ষীরা জেলার উত্তরে যশোর জেলা, দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর, পূর্বে খুলনা জেলা এবং পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য অবস্থিত। অবস্থানগত দিক দিয়ে সাতক্ষীরা জেলার অবস্থান বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্তে। উচ্চতার দিকে বিবেচনা করলে এ অঞ্চল সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে আনুমানিক ১৬ ফুট উচুঁতে। জেলার সীমানা যেভাবে নির্ধারিত হয়েছে তাতে উত্তর-দক্ষিণে দীর্ঘ। তবে এ বিস্তীর্ণ অঞ্চলের সব অংশে জনবসতি নেই। এর মধ্যে প্রায় এক তৃতীয়াংশ বনাঞ্চল। সুন্দরবনের মধ্যে যে পরিমাণ ভূমি তার পরমাণ ১৪৪৫.১৮ বর্গ কিলোমিটার। ভৌগোলিক অবস্থানগত দিক দিয়ে তাকালে এ জেলার পূর্বে খুলনা জেলা, পশ্চিমে চব্বিশ পরগণা জেলার (ভারত) বসিরহাট মহকুমা, উত্তরে যশোর জেলা ও দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর।
আবহাওয়া
শুষ্ক গ্রীষ্ম প্রধান জলবায়ু বিরাজমান, স্বাভাবিকভাবে গড় তাপমাত্রা ২৫°সেলসিয়াস (৭৭° ফারেনহাইট)।
প্রশাসন
সাতক্ষীরা জেলায় ২ টি পৌরসভা (সাতক্ষীরা ও কলারোয়া), ৭টি উপজেলা, ৭৯ টি ইউনিয়ন পরিষদ, ৮টি থানা ও ১৪৩৬টি গ্রাম রয়েছে। সাতক্ষীরা জেলার উপজেলা গুলো হলো:
- আশাশুনি উপজেলা
- কলারোয়া উপজেলা
- কালীগঞ্জ উপজেলা
- তালা উপজেলা
- দেবহাটা উপজেলা
- শ্যামনগর উপজেলা
- সাতক্ষীরা সদর উপজেলা
নামকরন
প্রাচীনকালে এই জেলাকে বাগড়ী, ব্যাঘ্রতট, সমতট, যশোর, চূড়ন প্রভৃতি নামে অভিহিত করা হতো। অবশ্য এ জেলার নামকরণের পেছনে অনেক মত প্রচলিত আছে। প্রথম ও প্রধান মতটি হলো চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের সময় নদীয়ার রাজা কৃষচন্দ্রের এক কর্মচারী বিষুরাম চক্রবর্তী নিলামে চূড়ন পরগনা ক্রয় করে তার অর্ন্তগত সাতঘরিয়া নামক গ্রামে বাড়ি তৈরী করেন। তার পূত্র প্রাণনাথ সাতঘরিয়া অঞ্চলে ব্যাপক উন্নয়ন করেন। ১৮৬১ সালে মহকুমা স্থাপনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হওয়ার পর ইংরেজ শাসকরা তাদের পরিচিত সাতঘরিয়াতেই প্রধান কার্যালয় স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেন। ইতোমধ্যেই সাতঘরিয়া ইংরেজ রাজকর্মচারীদের মুখে ‘সাতক্ষীরা’ হয়ে যায়। দ্বিতীয় মতটি হলো একদা সাত মনীষী সাগর ভ্রমণে এসে একান্ত শখের বসে (মতানৈক্যে রান্নার উপকরণাদি না পেয়ে) ক্ষীর রান্না করে খেয়েছিলেন। পরবর্তীতে ‘ক্ষীর’ এর সাথে ‘আ’ প্রত্যেয় যুক্ত হয়ে ‘ক্ষীরা’ হয় এবং লোকমুখে প্রচলিত হয়ে যায় সাতক্ষীরা।
বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণ-পশ্চিমে পৃথিবীর সর্ব বৃহৎ বনভূমি সুন্দরবন। বঙ্গোপসাগরের উপকূল এবং ভারতীয় সীমান্তে অবস্থিত সাতক্ষীরা নামক অঞ্চলটি মানব বসতি গড়ে ওঠার আগে ছিল একটি বিস্তীর্ণ জলাভূমি। পরবর্তীতে মানব বসতি গড়ে ওঠে। ১৮৬১ সালে যশোর জেলার অধীনে ৭টি থানা নিয়ে সাতক্ষীরা মহকুমা প্রতিষ্ঠিত হয়। পরে ১৮৬৩ সালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনা জেলার অধীনে এই মহকুমার কার্যক্রম শুরু হয়। পরবর্তীতে ১৮৮২ সালে খুলনা জেলা প্রতিষ্ঠিত হলে সাতক্ষীরা খুলনা জেলার অর্ন্তভূক্ত একটি মহকুমা হিসাবে স্থান লাভ করে। প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণের ফলে ১৯৮৪ সালে সাতক্ষীরা মহকুমা জেলায় উন্নীত হয়
চিংড়িচাষ
সাতক্ষীরার দক্ষিনাঞ্চলের অধিকাংশ মানুষ মৎসচাষের (ইংরেজি ) উপর নির্ভরশীল। সরকারী হিসাবে, সাতক্ষীরা জেলায় প্রায় ৬৭ হাজার হেক্টর জমিতে ৫৫ হাজার চিংড়ি ঘের (মৎস খামার) রয়েছে বেশির ভাগই বাগদা চিংড়ির চাষ হয় এবং বছরে ২২ হাজার মেট্রিক টন চিংড়ি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে এবং উৎপাদন মান ও পরিমান বৃদ্ধিতে আধুনিকরনে বিভিন্ন মৎস চাষী ও মালিকপক্ষ তৎপর রয়েছে।
![]() |
মাছের ঘের |
ইউরোপসহ বহি:বিশ্বে রপ্তানীকৃত শতকরা ৭০ভাগ চিংড়ি সাতক্ষীরা থেকে উৎপাদিত হয়। সাতক্ষীরার বাগদা ও গলদা চিংড়ি বহিঃবিশ্বে অনেক জায়গায় হোয়াইট গোল্ড নামে পরিচিত। চিংড়ি শুধু বিদেশে নয় দেশেও যথেষ্ট কদর রয়েছে। চিংড়ি চাষের জন্যে প্রয়োজনীয় মাছের পোনা বর্তমানে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত ও সংগ্রহিত হচ্ছে (সুন্দরবন উপকূলীয় এলাকায় এবং শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ও নওয়াবেকির হ্যাচারি থেকে) যা পূর্বে মৎস চাষীদের শতভাগ নির্ভর করতে হতো কক্সবাজারের হ্যাচারীর উপর
সুন্দরবন
পাশ্ববর্তী সুন্দরবন এর কারণে সাতক্ষীরা বনজ সম্পদে যথেষ্ট সমৃদ্ধ। ব্রিটিশ শাসন আমল থেকেই সুন্দরবনের কাঠ, মধু ও পশুর চামড়া এবং নদীর মাছ সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকার তথা সাতক্ষীরার অর্থনীতির অন্যতম ভিত্তি হয়ে ওঠে।
চিত্তাকর্ষক ও দর্শনীয় স্থান
- সুন্দরবন;
্সুন্দরবন - মান্দারবাড়ী সমুদ্র সৈকত - শ্যামনগর;
- জমিদার বাড়ি ও যশোরেশ্বরী মন্দির - শ্যামনগর;
- নলতা রওজা শরীফ - কালিগঞ্জ;
- নীলকুঠি - দেবহাটা থানা;
- মাইচম্পার দরগা;
- লাপসা - সাতক্ষীরা;
- বৌদ্ধ মঠ - কলারোয়া;
- তেঁতুলিয়া মসজিদ - তালা;
- মোজাফফর গার্ডেন;
- বনলতা বাগান ও মিনি পিকনিক স্পট - কালিগঞ্জ,সাতক্ষীরা;
- আব্বাস গার্ডেন।
- জমিদার হরিচরনের বাড়ি- শ্যামনগর
- জাহাজঘাটা-ভুরুলিয়া, শ্যামনগর;
- মাটির টালি তৈরির কারখানা - কলারোয়া, সাতক্ষীরা।
- বনবিবির বটগাছ- দেবহাটা, সাতক্ষীরা
- কলাগাছি, সুন্দরবন।
- আকাশনীলা ইকো ট্যুরিজম সেন্টার; মুন্সিগঞ্জ, শ্যামনগর।
- ভোমরা স্থল বন্দর, সাতক্ষীরা।
বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব
- খান বাহাদুর আহ্ছানউল্লা - সমাজ সেবক, সাহিত্যিক শিক্ষাবিদ ও শিক্ষা সংস্কারক;
- ডা: এম আর খান - জাতীয় অধ্যাপক, বিশিষ্ট শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ;
- পচাব্দী গাজী - বিশ্ব বিখ্যাত বাঘ শিকারী
- আজিজুননেছা খাতুন - প্র্রথম মুসলিম মহিলা কবি
- ওস্তাদ শেখ মোঃ কাওছার আলী - সাহিত্যিক ও কন্ঠশিল্পী
- মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী - একজন বাঙালি লেখক/কবি;
- সিকান্দার আবু জাফর - বিশিষ্ট সাহিত্যিক;
- আনিস সিদ্দিকী - বিশিষ্ট সাহিত্যিক (একুশে পদকপ্রাপ্ত);
- জনাব তোয়াব খান - সাংবাদিক;
- আবেদ খান - সাংবাদিক ও টিভি ব্যক্তিত্ব;
- শাহরিন বিনতে আনোয়ার - সেনাবাহিনীর প্রথম মহিলা পাইলট
- সাবিনা ইয়াসমিন - প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী;
- নীলুফার ইয়াসমীন - বিশিষ্ট কণ্ঠশিল্পী;
- রানী সরকার - বিশিষ্ট চলচিত্র অভিনেত্রী;
- তারিক আনাম খান - নাট্যশিল্পী;
- আফজাল হোসেন - নাট্যশিল্পী;
- ফাল্গুণী হামিদ - নাট্যশিল্পী;
- মৌসুমী হামিদ - অভিনেত্রী
- সারিকা সাবরিন - মডেল ও অভিনেত্রী
- সৈয়দ জাহাঙ্গীর - বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী (একুশে পদকপ্রাপ্ত);
- মুস্তাফিজুর রহমান - ক্রিকেটার;
- সৌম্য সরকার -ক্রিকেটার;
- ডা: এ এফ এম রুহুল হক - সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী;
- এ্যাডভোকেট এম মনসুর আলী - সাবেক মন্ত্রী, সমাজ সেবক ও রাজনীতিবিদ;
- সৈয়দ দিদার বখত - সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও সাংবাদিক;
- মোঃ হাবিবুল্লাহ- সমাজসেবক
- ডাক্তার বিধান চন্দ্র রায়- ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দ্বিতীয় মুখ্যমন্ত্রী।
- শঙ্কর রায় চৌধুরী- ভারতের সাবেক সেনা প্রধান, দেবহাটা, সাতক্ষীরা।
- শেখ লুতফুর রহমান, গীতিকার (জনতার সংগ্রাম চলবেইঃ স্বাধীনতার গান)
- জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় অভিনেতা, আবৃত্তিশিল্পী।
- ড. মোহাম্মদ আব্দুল মজিদ; সাবেক চেয়ারম্যান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।
সংগ্রহ-
- সাতক্ষীরা জেলা - জাতীয় তথ্য বাতায়ন।
- website-সাতক্ষীরা জেলা
আমাদের পেজ-এ join দিন
আমাদের MuktoMona360-সাইটে এ ঘুরে আসুন
COMMENTS